শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

গাছে ঝুলছে থোকা থোকা বারোমাসি আম

Reading Time: 2 minutes

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর:
আমের মৌসুম না হলেও শেরপুরের একটি এগ্রো ফার্মে চারা গাছের ডালে ডালে ঝুলছে থোকা থোকা আম। শুধু তাই নয়, এ আম বেশ উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এতে ওই এগ্রো ফার্মের মালিকপক্ষ থেকে আগামীতে শেরপুরে সর্বত্র এ আম গাছের চারা ছড়িয়ে দিয়ে অসময়ে আমের চাহিদা মেটাতে পরিকল্পনা করেছে।ইতোমধ্যে ওই ফার্মে এক হাজার দুই শত আম গাছের মধ্যে প্রায় ৪০টি বারো মাসি আমের চারা গাছ রয়েছে। কলম থেকে রোপিত এ চারা গাছে দুই বছরের মাথায়ই আমের ফলন আসায় বেশ আশা জাগিয়েছে ওই ফার্মের মালিককে। স্থানীয়রাও গাছে গাছে থোকা থোকা আম দেখে আর্শ্চয হয়ে তারাও এ গাছ রোপণে আগ্রহ হয়ে উঠেছে।ওই বাগান ঘুরে দেখা গেছে, এখন বাংলা আশ্বিন মাস এবং ইংরেজি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ। গাছে গাছে তাল পাকার হিরিক পড়লেও শেরপুরের একটি এগ্রো ফার্মের দেশি-বিদেশি মিশ্র ফল বাগানে প্রায় অর্ধশত আম গাছে ঝুলছে থোকা থোকা আম। গত কয়েক বছর আগে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের কেন্দুয়ারচর গ্রামে ঢাকায় চাকরিরত দুই বন্ধু প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান এবং সোহেল আহমেদ প্রায় ৫ একর জমিতে গড়ে তুলেন ‘তালুকদার এগ্রো’ নামে একটি দেশি-বিদেশি মিশ্র ফল বাগান। এখানে বিভিন্ন ফল গাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৌসুমী এবং বারো মাসি প্রায় ৪৬ জাতের আমের চারা রয়েছে।যদিও চারাগুলো দুই বছর আগে রোপণ করা হয়। তারপরও দের বছরের মাথায়ই মৌসুমী
আম উৎপাদন হয় প্রায় এক টন। আর এখন প্রায় ৪০টি গাছে রয়েছে বারোমাসি আম। এর মধ্যে থাই কটিমন এবং বারি-৪ জাতের আম গাছ রয়েছে বেশি। এর পাশাপাশি মৌসুমী আমের মধ্যে বারি-১১, আম্রপলি, ফজলি, ল্যাংরা, হিম সাগরসহ প্রায় ৪৬ জাতের আম গাছ রয়েছে। বারোমাসি আম খেতে সিজনাল আমের চেয়েও বেশ সুস্বাদু এবং এর চামড়া একুট পুরু হওয়ায় এ পাকা আম প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই রেখে খাওয়া যায়।এ বাগানে কর্মরত শ্রমিকরাও গাছো গাছে থোকা থোকা আম দেখে বেশ খুশি। তারা এ গাছের বেশ যত্ন নিয়ে থাকে। অসময়ে এ আমের ফলন দেখে আশপাশের মানুষের মাঝে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তারা এ বাগান দেখতে এবং খেয়ে বেশ তৃপ্ত হচ্ছে এবং তারাও এ আমের চারা রোপণ করে বাগান করতে আগ্রহ হয়েছে। এ বাগানের পরিচর্যার পাশাপাশি রোগবালাই দূর করতে স্থানীয় একজন কৃষিবিদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা হিরা জানান, এ তালুকদার এগ্রো ফার্ম থেকে এলাকায় বারোমসি আমের ফলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এ বাগানের গাছগুলো
মাতৃ গাছ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এ গাছ থেকে গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে এলাকায় এ জাতের আম সম্প্রসারণ করা হবে।তালুকদার এগ্রোর পরিচালক সোহেল আহমেদ জানানা, আমরা বেশ খুশি বারোমাসি আমের ফলন দেখে। তাই আমরা ভাবছি এলাকায় এ বারোমাসি আমের আবাদ ছড়িয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে স্থানীয়ভাবে অসময়ের আমের চাহিদা মেটাবো।এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, শেরপুর অঞ্চলে অসময়ের ফল বাগান নিয়ে বেশ আশাবাদী আমরা। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার একটি মিশ্র ফল বাগানে এ বারোমাসি আম উৎপাদন করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন।
আমরাও থাই কাটিমন এবং বারি-৪ জাতের আমের উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের উৎসাহ দিয়ে যাব। যাতে আগামীতে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অসময়ে আম চাষ করে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com